মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
রাজৈর নিউজ ডেক্সঃ চেয়ারম্যনের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেম, স্থানীয় বিরোধ ও নির্বাচনী জের ধরে যুবক সোহেল কে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তার লোকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার মাগরেবের নামাজের পরে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের মজুমদার বাজারে। নিহত সোহেল বাজিতপুর গ্রামের মৃত খালেক হাওলাদারের ছেলে । সে স্থানীয় বাজারে পোল্ট্রি মুরগী ব্যবসা করতো।
পুলিশ ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিভিন্ন কারনে ইউ,পি চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দোতালায় বসবাস করতো। বাজারে দোকান ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন একই স্থানে হওয়ার সুবাদে সোহেল হাওলাদার বংশীয় ভাতিজী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের স্ত্রী তিসার সাথে পরকীয়া প্রেম জমিয়ে তোলে। ঘটনা টের পেয়ে চেয়ারম্যন তার স্ত্রীকে ১৫ দিন আগে ঢাকা পাঠিয়ে দেন । পরে ক্ষিপ্ত হয়ে হয়ে ওঠে চেয়ারম্যান। এবিষয়টিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার মাগরেবের নামাজের পর চেয়াম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে সোহেলের উপর হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে । মুমুর্ষ অবস্থায় সোহেলকে প্রথমে রাজৈর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সোহেল হাওলাদার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তবে এবিষয় ভয়ে মুখ খুলছে না এলাকাবাসি।
নিহতের বড় ভাই বাবু হাওলাদার জানান, পুর্ব পরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান ও তার লোকেরা আমার ভাইকে বাজারে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।
সচেতন মহল জানায়, স্থানীয় বিরোধ ও নির্বাচনী বিরোধীতার কারনে চেয়ারম্যানের সাথে বিরোধ চলে আসছিল এবং চেয়ারম্যানের স্ত্রীর সাথে সোহেলের পরকীয়া প্রেম গড়ে উঠছিল। এসব কারনে হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে বলে অনেকেই জানায় । ওসি মোঃ শাহজাহান মিয়া জানান, আভন্তরীন কলহের জের ধরে চেয়ারম্যান ও তার লোকেরা সোহেলকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায় । লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে ।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, এই ঘটনার সাথে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার বলেন, প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি পরকীয়া প্রেমের কারণে স্থায়ীয় ভাবে শালিস মীমাংসাও হয়েছিল । ধারণা করা হচ্ছে এই কারনে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে ।