মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
নিত্যানন্দ হালদার,মাদারীপুরঃ মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্ট বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির সৎকার করা ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভ্যান,অটো,মোটর সাইকেল চালক ও পল্লী চিকিৎসকদের মাঝে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণসহ নানাবিধ সেবামুলক কার্য্যক্রম পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানটির সুনাম চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে।এছাড়াও এই ট্রাস্টের উদ্যোগে সমাজের অবহেলিত শিশুদের জন্য একটি অনাথ আশ্রম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বমহলে। সরকারি ও বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্টটি অজপাড়া গায়ের অবহেলিতদের ভাগ্যোন্নয়নে আরো বেশি কাজ করতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশা ট্রাস্টের পরিচালক প্রবীণ হালদার ও প্রকাশ হালদারের।
জানা যায়,১৮০০ শতাব্দীর প্রথম দিকে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার নবগ্রামের একটি গভীর জঙ্গলে শ্রীমৎ ধীরেন্দ্রনাথ হালদারের পিতামহ ধনকৃষ্ণ হালদার তার পিতা স্বর্গীয় ফটিক হালদারের সমাধিস্থল নির্মাণ করেন। হিংস্র জীবজন্তুর অভয়ারণ্য ছিল ফটিক হালদারের সমাধিস্থলের চতুর্দিকে। ভয়ে অনেকেই এই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতেননা।কালের বিবর্তনে দীর্ঘকাল অতিবাহিত হওয়ার পর ১৯০০ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বরিশাল জেলার কৌশিক ঠাকুর নামে এক ব্যক্তি স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে ঐ জঙ্গলে একটি শিব মন্দির নির্মাণ ও শিব ঠাকুরের বিগ্রহ স্থাপন করে পূজা শুরু করেন।পরবর্তীতে কৌশিক ঠাকুর শ্রীমৎ ধীরেন্দ্রনাথ হালদারকে ঐ শিব মন্দিরে পূজা দেবার জন্য অনুরোধ করেন।গভীর জঙ্গলে হিংস্র জীবজন্তুর ভয়ে সেখানে যেতে অনেকেই ভয় পেতেন বলে শিব মন্দিরে মঙ্গলময় শিবের পূজা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন শ্রীমৎ ধীরেন্দ্রনাথ হালদার।এর পর কৌশিক ঠাকুর নিজেই শিব মন্দিরে নিয়মিত পূজা দিতে শুরু করেন। এর পর এক সময় ইংরেজী বাদ্য বাজিয়ে ডাকাতদল ধীরেন্দ্রনাথ হালদারের বাড়িতে যখন লুটতরাজ এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। ঐ বছরই ধীরেন্দ্রনাথ হালদার মঙ্গলময় শিবের পূজা দিতে শুরু করেন।শ্রীমৎ ধীরেন্দ্রনাথ হালদার এখানে প্রতিষ্ঠা করেন জনকল্যাণ সেবাশ্রম নামে একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠান। আশ্রমের নামে লিখে দেওয়া হয় ৮০ শতাংশ জমি।প্রতিষ্ঠিানটির সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক শ্রীরেনু তালুকদার রমেশসহ কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী।এভাবে মন্দিরের কার্য্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়।সেবাশ্রমের কার্য্যক্রম এগিয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষ আশ্রমমুখী হতে থাকে।বনজঙ্গল উজাড় হয়ে আস্তে আস্তে আবাদী জমি ও লোকালয়ে পরিনত হয়।
২০০১ ইং সালে ধীরেন্দ্রনাথ হালদারের দুই পুত্র প্রবীণ হালদার ও প্রকাশ হালদার নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রমের নতুন নামকরণ করেন নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্ট। ২০০৯ সালে জরাজীর্ণ মন্দিরটি সংস্কার করা হয়।মন্দিরে যাতায়াতের জন্য নিজস্ব অর্থায়ণে সড়ক নির্মাণ করে দেন কালকিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হাসান(দোদুল কাজী) এবং আশ্রমে যাতায়াতের জন্য খালের উপর সেতু নির্মাণ করে দেন কালকিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক। জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্ট প্রতি বছর শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় বিত্তহীনদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ,বৃদ্ধদের মধ্যে উন্নত মানের বেতের লাঠি বিতরণ করা হয়।নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্টের একটি পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে।যার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বিমল হালদার ও সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন দেবাশিষ মন্ডল।
নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্টের উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান করা হয়ে থাকে।এর মধ্যে রয়েছে শিব চতুর্দশী অনুষ্ঠান,শারদীয় দুর্গোৎসব,ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্ঠমী উৎসব, দোলোনৎসব,শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা,বারোনী স্নান,অক্ষয় তৃতীয়া অনুষ্ঠান,সাপ্তাহিক ধর্মীয় সভা ও প্রতি মাসের শেষ সোমবার মাসিক সভা।এ সকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভক্তদেরকে নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্টের উদ্যোগে প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়।এছাড়াও শ্রীমাতা বীনা রানী পাঠাগার,জনকল্যাণ কিন্ডার গার্টেন,জনকল্যাণ সুর সংগীত একাডেমী ও জনকল্যাণ লার্ণ টু আর্ণ নামে কয়েকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অজপাড়া গায়ের মানুষের জ্ঞানার্জণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিা করা শ্রীমাতা বীনা রানী হালদার পাঠাগার।যার শুভ উদ্বোধন করেন মাদারীপুর-৩ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম।পাঠাগারটিতে বিভিন্ন ধরণের বই দানসহ সার্বিক সহযোগিতা করেছেন সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ¦ সৈয়দ আবুল হোসেন,ড.আব্দুস সোবাহান গোলাপ এমপি,কালকিনি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক,কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম,সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হাসান (দোদুল কাজী),নবগ্রাম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান পুলিন বিহারী সরকার,বর্তমান চেয়ারম্যান বিভূতি ভূষণ বাড়ৈ,বাংলা একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত সচিব অপরেশ ব্যানার্জী,ভারতের কলকাতা থেকে সঞ্জয় মল্লিক টিপু,হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস,ডাসার থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া,সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক,কালকিনি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা, ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল ওহাব মিয়া এবং এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ। পাঠাগারে বিভিন্ন ধরণের বই ছাড়াও পাঠকদের পড়ার জন্য রয়েছে একাধিক বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা।পাঠাগারটিতে পাঠক সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অজপাড়া গায়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে রয়েছে জনকল্যাণ কিন্ডার গার্টেন নামে একটি ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।৬জন অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। জনকল্যাণ কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন দেবাশীষ মন্ডল।অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ হচ্ছে অঞ্জলি রানী সরকার,বলরাম বৈদ্য,কল্পনা রানী তালুকদার,অনিতা মল্লিক ও প্রভা হালদার। জনকল্যাণ কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বই বাবদ নামমাত্র মূল্য এবং সামান্য বেতন নেওয়া হয়।শিক্ষকদেরকে নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্ট থেকে মাসিক বেতন পরিশোধ করা হয়।প্রতিষ্ঠানটি এলাকায় যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে।
প্রখ্যাত দুইজন সংগীত শিক্ষক রজত লাল হালদার ও পল্টু রঞ্জন তালুকদার দ্বারা জনকল্যাণ সুর সংগীত একাডেমী পরিচালিত হয়ে আসছে।শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৪০ জন।অজপাড়া গায়ের সাধারন মানুষ তাদের সন্তানদেরকে জনকল্যাণ সুর সংগীত একাডেমীর শিক্ষকদের মাধ্যমে গান শেখাতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদেরকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে ঢাকায় জনকল্যাণ লার্ণ টু আর্ণ নামে একটি প্রজেক্ট চালু করেছেন।এ শিল্পের কাঁচামাল নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্ট সরবরাহ করে থাকেন।পর্যায়ক্রমে প্রজেক্টটি গ্রামাঞ্চলে বিস্তার লাভ করবে।এতে এলাকার যুবক-যুবতীরা কর্ম সংস্থানের সুযোগ হবে।
২০১৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী জনকল্যাণ সেবাশ্রমে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের মতুয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সম্মেলনে মতুয়াচার্য্য শ্রীশ্রী পদ্মনাভ ঠাকুর ও মতুয়া মাতা সুবর্ণা ঠাকুরের উপস্থিতে আশ্রম প্রাঙ্গণে মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে।প্রতি বছরই শিব চতুর্দশীতে মহামতুয়া ভক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিদের সৎকার করার জন্য নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীণ হালদার ও সহযোগী সংগঠন মনোরঞ্জন ঘটক চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মলয় ঘটক এর যৌথ উদ্যোগে একটি সনাতনী সৎকার টিম গঠন করা হয়। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মৃত্যুবরণকারী এ পর্যন্ত ৮টি মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে দাহ করেছেন তারা। বর্তমানে এ কার্য্যক্রম ঢাকায় পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে গত ২৬ এপ্রিল নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্টের উদ্যোগে বৈশি^ক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বুধবার সকালে দুই শতাধিক ভ্যান,অটো,মোটর সাইকেল চালক ও পল্লী চিকিৎসকদের মাঝে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী(পিপিই,রেইনকোট,মাস্ক,গেঞ্জি,টুপি,হ্যান্ড স্যানিটাইজার) ও খাবার বিতরণ করা হয়।নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্টের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিমল হালদারের সভাপতিত্বে এবং পরিচালক প্রবীন হালদার ও প্রকাশ হালদারের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কালকিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হাসান দোদুল।বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান বিভূতি ভূষণ বাড়ৈ,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পুলিন বিহারী সরকার,রাজৈর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি নিত্যানন্দ হালদার,বাজিতপুর রাজকুমার এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশনের প্রাক্তণ শিক্ষক দশরথ চন্দ্র বৈদ্য,অপরেশ ব্যানার্জী,ডাঃ গৌতম চন্দ্র ঘরামী, দুলাল ঢালী,সুশিল বিশ্বাস,কালকিনি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমৎ ধীরেন্দ্রনাথ হালদার ও তার সহধর্মীনি শ্রীমাতা বীনা রানী হালদার ।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দেবাশিষ সরকার,জয়ন্ত হালদার,সঞ্জীব কুমার হালদার প্রমুখ। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করেন মঞ্চের অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শেষার্ধে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাদারীপুর,গোপালগঞ্জ ও বরিশাল জেলার কেউ মারা গেলে তাদের সৎকার করার জন্য একটি সনাতনী সৎকার টিম গঠন করা হয়।দেবাশীষ মন্ডলকে সমন্বয়ক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি স্বেচ্ছাসেবী সনাতনী সৎকার টিম গঠন করা হয়।টিমের সদস্যরা হচ্ছেন মনোতোষ বালা,দ্বিজেন্দ্রনাথ হাওলাদার,বাবুল তালুকদার,পঙ্কজ বালা,বাবুল বালা,বিপ্লব তালুকদার,ইন্দ্রজিৎ মধু,সুমন ঢালী,প্রদীপ মল্লিক,নবীন হালদার,বিকাশ বৈদ্য,সুজন মল্লিক,রথীন তালুকদার,মহিম ভক্ত,সুবীর গুপ্ত,বলরাম বৈদ্য,নৃপেন তালুকদার,সবুজ ভক্ত,রঘুনাথ তালুকদার,পলাশ তালুকদার,সম্্রাট বালা,মোহন শীল,সোহাগ তালুকদার,গোপাল গুপ্ত,বিদুষ তালুকদার ও অন্ত তালুকদার।
নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্টের সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছেন কালকিনি উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হাসান (দোদুল কাজী),সঞ্জিত কুমার হাওলাদার,মিহির কুমার হাওলাদার,সদানন্দ তালুকদার,মোঃ জাহিদুল হক(জাহিদ মেম্বার),বিমল কৃষ্ণ বালা,উজ্জ্বল হালদার ও নিহার হালদারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীণ হালদার বলেন,বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কেউ মারা গেলে তাদের সৎকার করার জন্য ঢাকা ও মাদারীপুরে দুইটি সনাতনী সৎকার টিম কাজ করে যাচ্ছে।ইতোমধ্যে ঢাকার পোস্তগোলা শ্মশান ঘাটে ৮জনের মরদেহ সৎকার করা হয়েছে।আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।সনাতনী সৎকার টিম ছাড়াও নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাস্টের উদ্যোগে বহুবিধ উন্নয়নমুলক কার্য্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।এছাড়াও একটি অনাথ আশ্রম করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।