মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
প্রদ্যুৎ কুমার সরকারঃ পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের ভাঙ্গা হতে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেল লাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই ৩২ কিলোমিটার লাইনের ওপর দিয়ে মঙ্গলবার পরীক্ষামুলক ভাবে রেল চালানো হয়েছে। ফরিদপুরের ভাঙা জংশন থেকে বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে দুটি বগি নিয়ে কর্মকর্তারা রওনা হয়ে ১ টার দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে আসেন। ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মান শেষ হলে মঙ্গলবার প্রকল্প সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফএম জাহিদ হোসেন,প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন,প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ ও রেল লিংক প্রকল্পের কর্মকর্তারা একটি উন্মক্ত বগিতে চড়ে ৩২ কিলোমিটার রেল পথ পাড়ি দিয়ে পদ্মা সেতুতে পৌঁছান। রেলের ওই দুটি বগি জাজিরার পদ্মা স্টেশনে পৌঁছলে প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা হাতনেড়ে কর্মকর্তাদের অভিবাদন জানান।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পদ্মা রেললিংক প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙা এবং ভাঙা থেকে যশোর। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত হতে ভঙা পর্যন্ত রেল লাইন নির্মান করা হয়েছে ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভায়াডাক ৪ কিলোমিটার আর মাটির ওপর দিয়ে ২৮ কিলোমিটার। ভায়াডাকের ৪ কিলোমিটার রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে পাথরবিহীন। আর ২৮ কিলোমিটার নির্মান করা হয়েছে পাথর দিয়ে। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত হতে ভাঙা পর্যন্ত দুটি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলোর ওপর দিয়ে ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। এখন স্টেশন দুইটি ও জংশনে চার লেনের লাইন বসানোর কাজ করা হচ্ছে। এ ছারা ভাঙা স্টেশনটি আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে।
প্রকল্পের অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ১ নভেম্বর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হয়েছে ৭০ শতাংশ। মাওয়া ভাঙ্গা অংশের কাজ হয়েছে ৮৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ভাঙা হতে যশোর পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৫৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।