মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ-
রাজৈর নিউজ অনলাইন পত্রিকার পক্ষ থেকে আপনাদের স্বাগতম। নিত্যনতুন সকল সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।ফেসবুক পেইজ থেকে আমাদের নিউজে চোখ রাখুন:- https://www.facebook.com/rajoirnews  তাছাড়া সংবাদ এর ভিডিও দেখুন ইউটিউব থেকে  BanglaNews Tube
সর্বশেষ সংবাদঃ-
এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ১৯, আহত ১৫ শিবচরে স্কুলগামী শিশু ছাত্রীকে ধর্ষন, ৬০ উর্ধ্ব চাতাল মালিক গ্রেফতার ছবির শুটিংয়ে এসে শিবচরের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা দেখে নায়ক ফেরদৌসের মুগ্ধতা , ফেসবুকে ২টি ভিডিও পোস্ট পদ্মা পাড় ও দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের জীবন সংগ্রাম ও পদ্মা সেতুর বাস্তবতা নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা “দখিন দুয়ার”# নায়ক ফেরদৌস,নায়িকা শিমলাকে নিয়ে শুটিং চলছে পদ্মার পাড়ে রাজৈরে ডাকাতি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার বিএনপি নির্বাচনে বৈধ নির্বার হওয়ার জন্য বিভিন্ন মিথ্যা কথা বলছে- শাজাহান খান অনন্ত দশ মহাকালী পূজা উপলক্ষে মাদারীপুরে শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদে বসে না ইউপি সচিব, টাকার ঘ্রাণ ছাড়া মেলে না দেখা বিএনপি একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল–রাজৈরে শাজাহান খান এমপি এশিয়ার সর্ববৃহৎ কনভেনশন সেন্টার হবে পদ্মার পাড়ে -চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী
ইউনিয়ন পরিষদে বসে না ইউপি সচিব, টাকার ঘ্রাণ ছাড়া মেলে না দেখা

ইউনিয়ন পরিষদে বসে না ইউপি সচিব, টাকার ঘ্রাণ ছাড়া মেলে না দেখা

52CDC39F-F464-4A12-A0E7-36929A82381B

add 720x200

আকাশ আহম্মেদ সোহেল: ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না সচিব। ফ্রী কোন কাজের জন্য ফোন দিলে বিভিন্ন জায়গায় কাজের অযুহাত দেন তিনি। ভাগ্যক্রমে মাসের মধ্যে ৪-৫ দিন আসলেও থাকেন না ২০ মিনিটও। এজন্য জনগণের বিভিন্ন সনদে পরিষদের যে কেউ তার সাক্ষর করে দেয়। তবে কোন কাজে টাকার (ঘুষ) ঘ্রাণ পেলেই তিনি ছুটে আসেন। তখনই মেলে তার দেখা। একটি জন্ম নিবন্ধন করতেও নেয় ৪-৫ হাজার টাকা।

এক অনুসন্ধানে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রতন কুমার বৈধ্য (৫০) এর বিরুদ্ধে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরাপর তিনদিন ঘোরার পর বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টা ১৫ মিনিট বাজে খালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রতনের কক্ষ বন্ধ। দরজায় তালা লাগানো। পাশের কক্ষে চেয়ারম্যান বসা। এরপর ঘন্টাখানেক অপেক্ষা শেষে তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি রিসিভ করেন না। পরে কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়, তিনি ইউনিয়ন পরিষদে আসে না, মাঝে মাঝে আসলেও ১০ মিনিটের উপর থাকে না, আর আজও (বৃহস্পতিবার) আসে নাই। যেকোনো সনদে সচিবের সাক্ষর প্রয়োজন হলে ইউনিয়ন পরিষদের যে কেউ একজন দিয়ে দেয়।

এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবতীকে ইউপি সচিবের কক্ষের সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সে কি কাজে এসেছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিতা-মাতা ও ভাইয়ের জন্ম নিবন্ধন করতে সচিবকে ৪ হাজার ৭’শ টাকা দিয়েছেন। এরমধ্যে শুধু তার ভাইয়ের জন্ম নিবন্ধন করার জন্যই দিতে হয়েছে ৪ হাজার টাকা। বাকি ৭’শ টাকা পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার কথা বলে নিয়েছে।

এ বিষয় খালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রতন কুমার বৈধ্য সকল দোষ অস্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যানের কাজে আমাকে সব সময় রাজৈর ও মাদারীপুর থাকতে হয়। আমি নিজে জন্মনিবন্ধন করি না, কারো কাজ থেকে কোন টাকাও নেই নাই। আমার সাক্ষর কেউ করে কিনা আমার জানা নাই।

তার বিষয় আরো খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সচিব রতনের বাড়ি একই উপজেলার আমগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকায়। তিনি রাজৈর কলেজ এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদে না পেলেও তাকে অফিস সময়ে বেশিরভাগ রাজৈরে পাওয়া যায়। এবং একটি ভ্যান রিজার্ভ করে চলাচল করেন, যার ভাড়া বাবদ মাসে ১২-১৫ হাজার টাকা ব্যায় করে। তার সাথে জন্মনিবন্ধনে বয়স কমানো বা বাড়ানোর চুক্তি করতে চাইলে দেখা করতে বলেন বিভিন্ন স্থানে।

খালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক (ছেরা) মোল্লা বলেন, এই সচিব আগে কদমবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করতো। সেসময় বিভিন্ন কাজের কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে টাকা আনছে শুনছি।  কিন্তু এখানে আসার পর আমার কাছে কোন অভিযোগ আসে নাই। যদি কেউ বলে, সে নিছে তাহলে আমি তার উপযুক্ত বিচার করবো। অথবা তাকে স্টান রিলিজ করাবো।

Comments

comments

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

add 720x200

Leave a Reply




add 300x600

উন্নয়ন সহযোগীতায়ঃ- সেভেন ইনফো টেক