মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
এক অনুসন্ধানে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রতন কুমার বৈধ্য (৫০) এর বিরুদ্ধে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরাপর তিনদিন ঘোরার পর বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টা ১৫ মিনিট বাজে খালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রতনের কক্ষ বন্ধ। দরজায় তালা লাগানো। পাশের কক্ষে চেয়ারম্যান বসা। এরপর ঘন্টাখানেক অপেক্ষা শেষে তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি রিসিভ করেন না। পরে কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়, তিনি ইউনিয়ন পরিষদে আসে না, মাঝে মাঝে আসলেও ১০ মিনিটের উপর থাকে না, আর আজও (বৃহস্পতিবার) আসে নাই। যেকোনো সনদে সচিবের সাক্ষর প্রয়োজন হলে ইউনিয়ন পরিষদের যে কেউ একজন দিয়ে দেয়।
এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবতীকে ইউপি সচিবের কক্ষের সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সে কি কাজে এসেছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিতা-মাতা ও ভাইয়ের জন্ম নিবন্ধন করতে সচিবকে ৪ হাজার ৭’শ টাকা দিয়েছেন। এরমধ্যে শুধু তার ভাইয়ের জন্ম নিবন্ধন করার জন্যই দিতে হয়েছে ৪ হাজার টাকা। বাকি ৭’শ টাকা পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার কথা বলে নিয়েছে।
এ বিষয় খালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রতন কুমার বৈধ্য সকল দোষ অস্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যানের কাজে আমাকে সব সময় রাজৈর ও মাদারীপুর থাকতে হয়। আমি নিজে জন্মনিবন্ধন করি না, কারো কাজ থেকে কোন টাকাও নেই নাই। আমার সাক্ষর কেউ করে কিনা আমার জানা নাই।
তার বিষয় আরো খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সচিব রতনের বাড়ি একই উপজেলার আমগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকায়। তিনি রাজৈর কলেজ এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদে না পেলেও তাকে অফিস সময়ে বেশিরভাগ রাজৈরে পাওয়া যায়। এবং একটি ভ্যান রিজার্ভ করে চলাচল করেন, যার ভাড়া বাবদ মাসে ১২-১৫ হাজার টাকা ব্যায় করে। তার সাথে জন্মনিবন্ধনে বয়স কমানো বা বাড়ানোর চুক্তি করতে চাইলে দেখা করতে বলেন বিভিন্ন স্থানে।
খালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক (ছেরা) মোল্লা বলেন, এই সচিব আগে কদমবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করতো। সেসময় বিভিন্ন কাজের কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে টাকা আনছে শুনছি। কিন্তু এখানে আসার পর আমার কাছে কোন অভিযোগ আসে নাই। যদি কেউ বলে, সে নিছে তাহলে আমি তার উপযুক্ত বিচার করবো। অথবা তাকে স্টান রিলিজ করাবো।