মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ অপরাহ্ন
বিনয় জোয়ারদার: রাজৈরের গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের সাইডলাইনের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পিতা ও পুত্রের মৃত্যু হয়েছে । মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ী ইউনিয়নের হিজলবাড়ী গ্রামে সোমবার(২৬-০৮-২৪) বিকালে এঘটনা ঘটে।নিহতরা হরো পুন্য পান্ডে (৫০) ও তার পুত্র রিচার্ড পান্ডে(১৪)। এ ঘটনার পরে মঙ্গলবার বিকালে গ্রাম্য শালিশ বসে সাড়ে দশ লক্ষ টাকায় আপোস রফা হয়। আপোস রফা হওয়ার কারনে ঘটনাটি আজ বুধবার প্রকাশ পায়।
এলাকাবাসী জানায়, হিজলবাড়ী গ্রামের মৃত মোহন পান্ডের পল্লী বিদ্যুতের লাইন ও মিটার সংযোগকৃত পরিত্যাক্ত ঘর থেকে একশত গজ দুরে দিলীপ হালদার সাইডলাইন নেয় তার মাছের ঘের ও মুরগীর খামারে। এখান থেকে আবার পংকজ বারুরী প্রায় ৫০গজ দুরে এক তারের মাধ্যমে সাইডলাইন নেয় তার ঘের ও মুরগী খামারে। এ দুই খামারের মাঝখানে মৃত পুন্য পান্ডে ঘের অবস্থিত। আর ঘেরের উপর দিয়ে ওই দুই খামারে অবৈধভাবে সাইড লাইন নেয়া হয়। সোমবার (২৬-৮-২৪) বিকালে পুন্য পান্ডে নিজ ঘের থেকে বড়শী দিয়ে মাছ ধরতে যায়। বড়শীতে মাছ ধরা পড়লে মাছ তুলতে জোরে টান দিলে বড়শী উপরের বৈদ্যুতিক তারে গিয়ে বিধে যায় । এসময় বৈদ্যুতিক তার থেকে বড়শী খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। পিতার বাড়ীতে আসতে দেরী হওয়ায় ছোট ছেলে রিচার্ড পিতাকে খুজতে খামারে এসে দেখে পিতা পুন্য পান্ডে পানিতে উপুর পড়ে আছে। এসময় পিতাকে তুলতে গেলে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে । কিছুক্ষন পরে বড় ছেলে ওই দুইজনকে খুজতে আসে । এবং তাদের কে তুলতে গেলে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে প্রানে রক্ষা পায় । মুমুর্ষ রিচার্ডকে উদ্ধার করে নিকটতম কদমবাড়ী বাজারে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার(২৭-৮-২৪) বিকালে অনিল বৈদ্যের সভাপতিত্বে এক শালিশ বৈঠকে ওই দুই খামারের মালিক পংকজ বারুরীকে আট লক্ষ ও দিলীপ হালদারকে আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা করে আপোস রফা হয়। এ বৈঠকে সুকন্ঠ গাইন, বাবলু বৈদ্য, সুকান্ত হালদার, মনোজ বারুরী ও সমীর বারুরীসহ শতাধিক লোক উপস্থিত ছিল।
অভিযুক্ত পংকজ বারুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওই পরিবারটিকে সহযোগিতা করার জন্য শালিশদের রায় মেনে নিয়ে ধার্যকৃত টাকার মধ্যে চার লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছি।
মাদারীপুর পল্লীবিদ্যুতের টেকেরহাট জোনাল অফিসের ডিজিএম মাহামুদুল হাসান জানান, এব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না।
এবাপারে ওসি আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, ঘটনা জেনেছি। পরিবারের দাবীর মুখে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়।