গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার মাঝিগাতী গ্রামের আ: রহমান খন্দকারের ছেলে মো. টুটুল (২৮), ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কার্তিবাতাই গ্রামের মুন্নু ফকিরের ছেলে ফরহাদ (১৯), রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার চৌমুহনী গ্রামের ইসমাইলের ছেলে সোহেল (২৮)। এদের মধ্যে সোহেলের নামে আরো ৫টি ও টুটুলের নামে আরো ২ টি চুরি মামলা রয়েছে।পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে শখের বসে একটি গরুর খামার নির্মাণ করেন কদমবাড়ি ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের শিক্ষক শ্যামল। প্রতিদিনের মতো রোববারও ৬ টি গরু খামারে আটকে রেখে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরে গভীর রাতে খামার থেকে বাছুর গরুর ডাক শুনতে পেয়ে ঘর থেকে বের হন। একপর্যায়ে খামারে প্রবেশ করে দেখেন ৫ টি গরু চুরি হয়ে গেছে। এসময় একটি ট্রাকে করে গরু নেওয়া হয়েছে জানতে পেরে বিভিন্ন স্থানে ফোন দিয়ে লোকজনকে জানান। পরবর্তীতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে উঠার উদ্দেশ্যে টেকেরহাট আসলে স্থানীয়রা ট্রাকটি আটকে দেয়। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ড-১৪-৮৮০২। পরে ৫টি গরুসহ ৩ চোরকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। এসময় ট্রাক ড্রাইভারসহ ৫ চোর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।ভুক্তভোগী শিক্ষক শ্যামল কান্তি গাইন জানান, শখের বসে একটি গরুর খামার করেছি। আমি মূলত ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। আমার মোট ৬ টি গরু। গত রাত প্রায় দেড়টার দিকে খামার থেকে বাছুরের ডাক শুনেছি কিন্তু প্রথমে কিছু মনে করি নাই। পরে আরো বেশি ডাক শুনে সন্দেহ হলে বের হয়ে দেখি খামারে গরু নাই। পরে একজনের কাছ থেকে শুনি যে একটি ট্রাকে কয়েকটি গরু নিয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে ডেকে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে জানানো হয়। রাত ৩ টার দিকে টেকেরহাট তেলপাম্পের কাছে থেকে স্থানীয় লোকজন ট্রাকটি আটক করে পুলিশের লাছে দেয়।
গ্রেপ্তারকৃত গরু চোর সোহেল জানান, আমি এইচএসসি পাশ করে চাকরির জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। সেই টাকা মার খাবার পর এই চুরি পেশা বেছে নিয়েছি। এর আগে দিনে চুরি করেছি কিন্তু রাতে কখনো চুরি করি নাই। আমরা ৮ জন ছিলাম। ৫ জন পালাই গেছে। আমরা ৩ জন ধরা খাইছি।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান জানান, ৫ টি গরুসহ ৩ চোরকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে।