শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৭ অপরাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে শিবচর পৌর বাজারের ইউসিবি ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে একা দাঁড়িয়ে ছিল রাকিব। এসময় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে একা পেয়ে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। পরে রাকিবকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করলে নেওয়ার পথেই রাকিবের মৃত্যু হয়। সঙ্গে সঙ্গে রাকিবকে কোপানোর একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদটি প্রচার হওয়ায় ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২২ জনের নাম উল্লেখ ও আরও অজ্ঞাত ৫/৭ জনকে আসামি করে শিবচর থানায় মামলা করেন নিহতের মা পারুল আক্তার।
র্যাব-৮ আরও জানায়, মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা যৌথভাবে অভিযান চালায়মাদারীপুর র্যাব-৮ ও ঢাকার র্যাব-১০ এর যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এসময় আসামি নুর আফজাল ওরফে রানা সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন খানপুর এলাকায় নারায়ণগঞ্জের র্যাব-১১ ও মাদারীপুর র্যাব-৮ এর অপর একটি টিম যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে।পরে মামলা মূলে দুই আসামিকে শিবচর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সাথে রাকিবদের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৬ মে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ মারা যান। পরে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় আসেন রাকিব। রোববার রাতে শিবচর পৌর বাজারের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক(ইউসিবি) এর সামনে একটি অস্ত্রধারী দল তাকে জনসম্মুখে এলোপাতারি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে রাকিব মারা যায়।