রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন
পুলিশ জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খুলনার তেরখাদা থেকে তরমুজ নিয়ে মাদারীপুরের মস্তফাপুর ফলের আড়ৎয়ে যাচ্ছিল একটি পিকআপ। পথিমধ্যে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ব্রিজ এলাকার গঙ্গাবর্দী স্থানে আসলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ওপর থেকে চালক-হেলপারকে মারধর করে তরমুজ ভর্তি পিকআপটি নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। ওইদিন রাতেই রাজৈর থানায় ডাকাতি মামলা করা হয়। পরেরদিন গত ২৪ সেপ্টেম্বর ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে রাজৈর থানার পুলিশ। এসময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ভাঙ্গা, সদরপুর, নগরকান্দা, কেরানিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আরও ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে আবার অভিযান চালিয়ে আরও ৫ ডাকাতসহ মোট ১৩ জন ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সঙ্গে তাদের তথ্য অনুযায়ী গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ডাকাতি করা পিকআপটি উদ্ধার করে। পরে রাজৈর থানা থেকে পিকআপ মালিককে খবর দেওয়া হয়।
পিকআপ মালিক ও ফল ব্যবসায়ী সরদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ডাকাতি হওয়া পিকআপটি রাজৈর থানার পুলিশ অনেক কষ্ট করে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে ডাকাত দলও গ্রেপ্তার হয়েছে। আমি রাজৈর থানা পুলিশকে দোয়া করি ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। গ্রেপ্তার ডাকাতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।
মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) সালাহ উদ্দিন কাদের বলেন, আমগ্রাম থেকে তরমুজ ভর্তি পিকআপ ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ধাপে ধাপে এই পর্যন্ত মোট ১৩ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পিকআপটিও উদ্ধার করেছি। এরা মুলত মহাসড়কে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এর আগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি এবং আজকে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ডাকাতি করা তরমুজ গুলো ঢাকার যাত্রাবাড়ী নিয়ে বিক্রি করে দেয় ডাকাতরা। এরপর গাজীপুরের জয়দেবপুর নিয়ে পিকআপটি লুকিয়ে রাখে।