শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
মেহরাব সিফাত ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কেউ ঘরে ফিরে জাবেন না, মনে করবেন না যে দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে। আমাদের অনেক বেশি সংগঠিত হওয়ার দরকার। যেহেতু ১৭ বছরের আওয়ামী জাহিলিয়াতির সময় একটি কেন্দ্রীয় ডাকে নিপীড়িত সকলে রাজপথে নেমেছিলেন। কিন্তু এবারের আন্দোলন ভাঙ্গা নয়, গড়ার আন্দোলন। এবারের আন্দোলনে আমাদের নতুন ব্যবস্থা গড়ে দেখাতে হবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে সকল গোষ্ঠীকে একতাবদ্ধ হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আহত ও শহীদদের বিচার ব্যবস্থা এখনো শুরু হয় নাই। বিচারের আগ পর্যন্ত এই হত্যার প্রশ্নে, রক্তের প্রশ্নে ছাত্র-জনতা ও আওয়ামীলীগ ব্যতীত সকল দলকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে। যাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদী, ট্যাম্পু স্টান্ডে চাঁদাবাজি, দোকানে দোকানে গিয়ে ডাকাতি-ছিনতাই ও মানুষকে জোর জবরদস্তি হুকুম দেওয়ার বৈশিষ্ট্য নাই সেই ফ্যাসিবাদ বিরোধী জনতাকে একত্রিত থাকতে হবে।
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মেহরাব সিফাত আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে যেকোনো দলকে স্বাগতম। কিন্তু অবশ্যই ২৪ এর ছাত্র-জনতা ও আন্দোলনকে অস্বীকার করে কোন ধরনের রাজনৈতিক, কোন ধরনের বন্দবস্ত করা চলবে না। যদি ঘোষণাপত্র করতে হয় তবে এটাই হবে নতুন ঘোষণাপত্র। সারাদেশে আন্দোলনকারীদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বন্দবস্ত করতে হবে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম যত জনগণ আছে প্রত্যেকটি জনগণকে সেই নতুন বন্দবস্তের আওতায় আনতে হবে এবং আপামর ক্ষমতা থাকবে জনগণের কাছে, ক্ষমতার কাছে না।
এ আলোচনা সভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিসি) সদস্য আজগর শেখের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাদারীপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহ, সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিসি) রাজৈর উপজেলার সদস্য মহাসিন ফকির, জাবের হাওলাদার, রাজৈর উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা আফরান জামি সহ জেলা ও উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিসির বিভিন্ন নেতাকর্মী প্রমুখ।