সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
আকাশ আহম্মেদ সোহেল: বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার সময় মাফিয়াদের হাতে আটক হয় মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট আবাসিক এলাকার ইকবাল হোসেনের (টিটু) ছেলে সায়েম মিয়া(২০)। তাকে তিউনিসিয়ার পাহাড়ে আটকে রেখে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করছে মাফিয়া দালালরা। ইতোমধ্যে দালালের হাতে চুক্তির ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন ছেলেকে মুক্ত করতে দালালদের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিতে রাজৈর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সায়েমের অসহায় বাবা লন্ড্রী দোকানী ইকবাল।
জানা যায়, স্বপ্ন পূরণের আসায় পাঁচ মাস আগে সাগরপথে অবৈধভাবে ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছাড়েন সায়েম। স্বপ্নের দেশে পৌঁছানোর জন্য রাজৈর উপজেলার মধ্য বদরপাশা গ্রামের মো.আরিফ হাওলাদার, খবির হাওলাদার, ফটিক হাওলাদার, হোসনেয়ারা ও কালকিনি উপজেলার পশ্চিম আলীপুরের মো.মেহেদী হাসান শেখের সাথে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে রওনা করেন তিনি । এরমধ্যে চুক্তির ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দালালের কাছে জমা দেওয়া হয়। এর কয়েকমাস পরে তিউনিসিয়ার মাফিয়াদের হাতে আটক হয় সায়েম।
সায়েমের বাবা ইকবাল হোসেন জানান, দালাল আরিফ আমার ছেলেকে লিবিয়া নিয়ে তিউনিসিয়ার মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। মাফিয়ারা আমার কাছে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। এরআগে সাড়ে ১০ লাখ দালালকে দিয়েছি। এখন এতো টাকা আমি কোথায় পাবো।
সায়েমের মা সম্পা আক্তার জানান, আমার ছেলেকে পাহাড়ের আটকে রেখেছে দালাল মেহেদী হাসান। টাকা না দিলে সায়েমকে খুন করে ফেলবে মাফিয়ারা। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই এবং ওই দালাল মাফিয়াদের কঠোর শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলার মধ্য বদরপাশা গ্রামে দালাল আরিফ হাওলাদারের বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি। এমনকি তার মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন উত্তর দেননি।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাসুদ খান জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যেই আমরা অভিযুক্তদের বাড়িতে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে দালালের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি।