মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন
চুন্নু মুন্সীর ছেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজৈর শাখার সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে আমার ফুফু নতুন বিল্ডিং করতেছেন। সেই নির্মাণাধীন বিল্ডিং-এ প্রতিদিন মাদকসেবন করতে যায় ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি টিটু ও তার দুই সহকারী ইসলাইল শেখ ও ইব্রাহিম শেখ। এজন্য আমার বাবা তাদের বিল্ডিং-এ উঠতে নিষেধ করলে তারা বেয়াদবি করে। এ ঘটনা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সবাই জানেন। সেজন্য শালিস বসানো হয়েছিল। এদিকে মিমাংসা হলেও বাড়িতে তারা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, পান্নু মুন্সী ও রোকন উদ্দিন শেখ সম্পর্কে মামা-ভাগনে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) নান্নু মুন্সী ও পান্নু মুন্সী দুই ভাইয়ের মধ্যে পান্নুকে ভালো বলে রোকন উদ্দিন। এ নিয়ে নান্নুর ছেলে সাইদুল ও রোকন উদ্দিনের ছেলে রয়েজের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। সেই ঘটনা মিমাংসার জন্য শালিস বসেছিল। সেই শালিসের মধ্যেই দুই পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষ বাধায়। দুই পক্ষই খারাপ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজৈর থানার এস আই শেখ নুরুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষ আলাদা আলাদা কথা বললেও জানা গেছে মসজিদে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আগে তারা এক সাথে এক মসজিদে নামাজ পড়তো। কিন্তু এখন আলাদা মসজিদ নির্মাণ করে সেখানে নামাজ পড়ে। এক মসজিদ এলাকা থেকে আরেক মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ায় মুসল্লীদের নিষেধ করায় দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এরপরও কোন ঝামেলা হলে উভয়পক্ষকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।